সৌদি আরবের আসির প্রদেশে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
নিহত ১৩ বাংলাদেশির হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোর ইস্কান্দারের ছেলে রনি ও কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, সৌদি আরবে যে বাস দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৫ জন। বাস দুর্ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া বাসে ভিন্নদেশি ১২ জন যাত্রীদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে পবিত্র মক্কা নগরী যাওয়ার পথে হাজিদের বহনকারী একটি বাস ব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে আগুন ধরে যায়।
খালিজ টাইমস ও গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার আসির প্রদেশ এবং আভা শহরের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কে বাসটির ব্রেক ফেল হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা ওমরাহ পালন করতে মক্কা যাচ্ছিলেন।
পাঠকের মতামত